পনসেটি সমাধান
বিশ্বজুড়ে ক্লাবফুট চিকিৎসায় পনসেটি পদ্ধতিটি সর্বজন স্বীকৃত যার সূচনা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক্সের অধ্যাপক ডা: ইগনাসিও পনসেটি।
পদ্ধতিটি ম্যানিপুলেশন, কাস্টিং, টেনোটমি এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্রেস ফলো-আপসহ একটি খুব সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার পদ্ধতি যা সহজ, সাশ্রয়ী এবং ফলাফল বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর।
পদ্ধতিটি দুইটি পর্যায়ে বিভক্ত:
০১. সংশোধনী পর্যায় এবং ০২. রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন পর্যায়
সংশোধনী পর্যায়ে শিশুর বাঁকা পায়ের বিকৃতিগুলোকে ক্রমান্বয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে ম্যানিপুলেশন করে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এই ম্যানিপুলেশন ও কাস্টিং খুবই আলতো ও মৃদুভাবে সম্পন্ন করা হয়। ম্যানিপুলেশনের পরবর্তীতে শিশুর পায়ের আঙ্গুলের গোড়া থেকে কুঁচকি পর্যন্ত প্লাস্টার বা কাস্টিং করা হয় যা ৭ দিন পায়ে রাখতে হয়। এই নিয়মে গড়ে ৪ থেকে ৬ বার প্লাস্টার কাস্টিং করা হয়।
বাংলাদেশে ওয়াক ফর লাইফ- প্রকল্পের সকল ক্লাবফুট ক্লিনিকে অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যপেশাজীবীদের মাধ্যমে পনসেটি পদ্ধতিতে ক্লাবফুট শিশুদের চিকিৎসাসেবা অব্যহত রয়েছে।
নিচের ছবিগুলো আমাদের ওয়াক ফর লাইফ-মায়ানমার প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত ক্লাবফুট শিশুর। ধারাবাহিক ছবিগুলোর মাধ্যমে শিশুটির ক্লাবফুট চিকিৎসার কাস্টিং পর্যায় থেকে ব্রেসিং পর্যায় পর্যন্ত অগ্রগতি দেখানো হয়েছে। আশ্চর্জনক ব্যাপার হলো চিকিৎসার অগ্রগতির সাথে সাথে শিশু ও তার মায়ের চোখে-মুখে ক্লাবফুট প্রতিবন্ধকতা মুক্তির আনন্দ প্রকাশ পাচ্ছে। ওয়াক ফর লাইফ-মায়ানমার ফেসবুক লিংক